ট্রেংডিং

ভারতীয় সেনাবাহিনীর বহর বাংলাদেশ সীমান্তে প্রস্তুতি যুদ্ধের

আগরতলা, ২ নভেম্বর ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতির খবর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে।

২ নভেম্বর দুপুরে একদল বিক্ষোভকারী আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ভবনের গেটে আক্রমণ চালায়। এতে হাইকমিশনের সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কূটনৈতিক কর্মীরা নিরাপত্তার জন্য ভিতরে আশ্রয় নেন।

একজন হাইকমিশন কর্মকর্তা জানান, “এ ধরনের ঘটনা আমাদের কূটনৈতিক কার্যক্রমের জন্য হুমকি। আমরা ভারত সরকারের কাছে দ্রুত সুরক্ষা জোরদার করার অনুরোধ জানিয়েছি।”

সীমান্তে উত্তেজনা;

এই ঘটনার পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত মোতায়েন ও ট্যাঙ্কার চলাচল লক্ষ্য করা গেছে। ত্রিপুরা, মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, “সীমান্তে আমাদের নিয়মিত প্রস্তুতি চলছে। এটি কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে নয়, বরং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদারের অংশ।”

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলা এবং সীমান্ত উত্তেজনার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, “ভারতের পক্ষ থেকে আমরা দ্রুত স্পষ্ট ব্যাখ্যা এবং উত্তেজনা কমানোর উদ্যোগ আশা করছি।”

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের পরিস্থিতি দুই দেশের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তারা উভয় দেশকে দ্রুত সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।

দুই দেশের মধ্যে শান্তি রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক মহলও নজর রাখছে। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো থেকে মধ্যস্থতার প্রস্তাব আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে উভয় দেশের জন্য শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের সরকার এবং জনগণকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে যেন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

User Rating: 4.15 ( 2 votes)
বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Back to top button