দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ও একমাত্র নারী নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী

দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ও একমাত্র নারী নবাব ছিলেন ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী। মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ারও আগে নারী শিক্ষা নিয়ে নীরব আন্দোলনে মেতে ওঠেন সে সময়ের মুসলিম সম্প্রদায়ের এ নারী। তিনি নারী শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং জনহিতকর কাজের জন্য ইতিহাসে পরিচিত হয়ে আছেন।

নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী কত সালে এবং কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

– তিনি ১৮৩৪ সালে কুমিল্লার হোমনাবাদ পরগনা যার বর্তমান নাম লাকসাম উপজেলা, তার পশ্চিমগাঁওয়ে জন্ম গ্রহণ করেন।

ফয়জুন্নেসা কে ছিলেন?

– ফয়জুন্নেসা ছিলেন তৎকালীন হোসনাবাদ পরগনা ও বর্তমান কুমিল্লার জমিদার।

কত সালে এবং কে তাকে নবাব উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন?

– ১৮৮৯ সালে রাণী ভিক্টোরিয়া বেগম ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী’কে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নবাব উপাধিতে ভূষিত করেন।

শিক্ষাক্ষেত্রে তার অবদান কি ছিল?

– কারণ তিনি তৎকালীন মুসলিম সমাজের পর্দাপ্রথা ভেদ করে বেগম রোকেয়ার জন্মের ৭ বছর আগে ১৮৭৩ সালে নারী শিক্ষার প্রসারে প্রতিষ্ঠা করেন বালিকা বিদ্যালয়। যার বর্তমান নাম নবাব ফয়জুন্নেসা স্মৃতি কলেজ। পরবর্তীতে ছেলে ও মেয়ে একসাথে লেখারপড়ার জন্য আরও একটি বিদ্যালয় গড়ে তোলেন। নারীদের শিক্ষায় আগ্রহী করতে মাসিক বৃত্তির ব্যবস্থা করেছিলেন এই নারী। এছাড়াও তার জমিদারির ১৪ টি মৌজায় ১৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

স্বাস্থ্যখাতে তার অবদান কী?

– তিনি ১৮৯৩ সালে কুমিল্লা শহরে প্রথম একটি দাতব্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করেন যা পরবর্তীতে একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রুপ নেয়।

নবাব ফয়জুন্নেসার অর্জন 

– বাংলাদেশ সরকার ২০০৪ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করেন।

তিনি কত সালে মৃত্যুবরণ করেছিলেন?

১৯০৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলার প্রথম ও

ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী

একমাত্র নারী নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীর মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞাপন

মুনতাসির তাসরিপ

তরুন সংবাদকর্মী, শিক্ষার্থী ও সমাজকর্মী। মুন্তাসির 'মীনা মিডিয়া এওয়ার্ড ২০২৩' তিন ক্যাটাগরিতে মননীত হন । স্থানীয় বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠন এর সাথে কাজ করেন।

Leave a Reply

Back to top button